দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুটি বিচারাধীন মামলার কার্যক্রম চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় বিশেষ জজের আদালত থেকে প্রত্যাহার করে উপযুক্ত অন্য আদালতে কেন বদলি করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, ওই দুই মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
সমসাময়িককালে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের মামলা প্রত্যাহার করে আদালত বদলির আবেদন প্রথম বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
এর আগে ২০১০ সালে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় করা একটি মামলায় ১০ জন এবং অপর মামলায় ১২ জনকে আসামি করা হয়। দুটি মামলায় ভারপ্রাপ্ত বিশেষ বিভাগীয় জজ মো. ইসমাইল হোসেন যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আগামী ১০ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন।
এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদক মহাপরিচালকের (আইন) একটি নথি আদালত পরিবর্তনের আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে আমরা হাইকোর্টে আবেদন জানাই। ওই নথিতে বলা হয়, বিশেষ মামলা নং-৩৩/২০১২ ও ৩৭/২০১২ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন। উক্ত আদালতে কোনো বিচারক না থাকায় চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত বিচারক হিসেবে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এসব মামলায় কমিশনের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ না করে, কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) আপত্তি সত্ত্বেও সাক্ষ্যপর্ব সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং পরদিন আসামিদের ফৌজদারি কার্যধির ৩৪২ ধারায় পরীক্ষার জন্য রাখা হয়।
এরপর দুদকের পক্ষে সময় আবেদন দাখিল করলে ওই আদালত তা না মঞ্জুর করেন। দুদকের পক্ষে মামলা প্রমানার্থে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের উপস্থাপনের সুযোগ না দিয়ে রায় দেয়া হলে মামলার ন্যায় বিচার পাওয়া সম্ভব নয় এবং তার সুবিধা আসামিপক্ষ পাবে বলেও আবেদনটিতে জানানো হয়েছে।
তাই মামলা দুটির ন্যায়বিচারের স্বার্থে দুদক হাইকোর্টে আবেদন জানালে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি মামলা দুটির কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন বলে জানান দুদক আইনজীবী।